স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খেলার মাঠে বালু পাথর রেখে দখলে রেখেছে দিরাই-শাল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক পুনর্নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় তিন বছর ধরে এই মাঠে খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে এসব মালামাল রাখার কারণে। বিষয়টিকে জনগুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে গত ১৭ মার্চ সিলেট জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত দাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আমি। সেই হিসেবে বিদ্যালয়ের মাঠে কত ফুটবল খেলেছি, কত ধরনের অনুষ্ঠানও হতো এই মাঠে। ফলে অনেক মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই মাঠে। আমার কাছে এই মাঠটি আবেগের জায়গা। স্কুলের মাঠে এভাবে ২-৩ বছর ধরে বালু, পাথর থাকায় মাঠি অকেজো হয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস বন্ধ রাখা কোনভাবেই উচিত নয়। মাঠটি দ্রুত সংস্থার করে খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির আবেদন করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও লিখেন- মাঠটি যদি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাড়াও দিয়ে থাকে তাহলে সেই অর্থ বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়েছে কি-না তাও জানতে চান এই আইনজীবী। ২৮ মে সরেজমিনে গিয়ে গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দেখা যায় যত্রতত্র বালু ও পাথর পড়ে রয়েছে পুরো মাঠজুড়ে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন চৌধুরী বলেন, মাঠটি ভাড়া দেয়া হয়নি। তারা চেয়েছেন তাই তাদেরকে মাঠে বালু, পাথর রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৭শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুব্রত দাশ বলেন এভাবে বছরের পর বছর একটি স্কুলের মাঠে বালু, পাথর রাখা যায় না। আমাকে সড়কের ঠিকাদারের লোকজন বলেছেন তারা ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন সহদেব মেম্বারের মাধ্যমে। আমি অভিযোগ ২-৩ মাস আগে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাঠে পড়ে রয়েছে বালু পাথর। সংস্কার তো দূরের কথা। খুব দ্রুত মাঠ খালি করে খেলাধুলার উপযোগী করে দেয়ার দাবি করেন তিনি। এনিয়ে জানতে চাইলে বাহাড়া ইউপির সংশ্লিষ্ট সদস্য সহদেব দাশ বলেন, কোনও টাকা দেয়া হয়নি। আমিই বালু, পাথর রাখার জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম। আমাকে বলেছিল আল আমিন চৌধুরী। তবে জুন মাসের মধ্যে মাঠ খালি করে ভিটবালু ফেলে মাঠ সংস্কার করবেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে দিরাই-শাল্লা মহাসড়ক পুনর্নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা লোকজন বলেছেন, ৩০হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে মাঠ থেকে বালু পাথর নেওয়া হচ্ছে। পরে বর্ষায় মাঠে ভিটবালু ফেলা হবে বলে জানান ঠিকাদারের লোকজন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস অনেকটা অবাক হয়ে বলেন, এখনও মাঠ খালি করেনি তারা? আমি সুনামগঞ্জ এসেছি শাল্লায় গিয়ে দ্রুত মাঠ খালি করার ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকাদারের দখলে বিদ্যালয়ের মাঠ, প্রায় তিন বছর ধরে খেলাধুলা বন্ধ
- আপলোড সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৮:২৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৮:২৮:১৬ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ